মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ১০ টি সহজ উপায়
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ১০ টি সহজ উপায় বর্তমান সময়ে মানুষের কাছেও আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে. প্রযুক্তির অগ্রগতির যুগে শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা সম্ভব।
মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা খুব সহজ কারণ অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং প্ল্যাটফর্ম মোবাইল অ্যাপ সাপোর্ট করে। যারা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করতে পারেনা তারা মোবাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ১০ টি সহজ উপায়
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ১০ টি সহজ উপায়
- ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয় করার উপায়
- মোবাইল ফোন দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং করে আয়
- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়
- মোবাইল ফোন দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয়
- মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
- ভিডিও এডিটিং করে আয় করার উপায়
- মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে আয়
- গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করার উপায়
- মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
- ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়
- শেষ কথাঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ১০ টি সহজ উপায়
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ১০ টি সহজ উপায়
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ১০ টি সহজ উপায় অনেক নতুনদের জন্য আয়ের
একটি নির্ভরযোগ্য সুযোগ তৈরি করেছে। আজকের দিনে স্মার্ট ফোন কেবলমাত্র যোগাযোগ বা
বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং আয় করার জন্য একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার
হচ্ছে। বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ বা অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ঘরে বসে কাজ পাওয়া
সম্ভব। বিশেষ করে পড়াশোনার পাশাপাশি বা পার্টটাইম কিছু করতে চান তাদের জন্য
মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সেরা মাধ্যম হতে পারে।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সহজে কাজ পাওয়া সম্ভব করে তুলেছে। ঘরে বসে কনটেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ বিভিন্ন কাজ করা যায়। এছাড়া মোবাইল দিয়ে কাজ করার সুবিধা হল যেকোনো সময় যেকোন স্থান থেকে কাজ করা যায় ফলে সময়ের সীমাবদ্ধতা কমে আসে।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আয় করার সুবিধা হলো এটি সহজ, খরচে শুরু করা যায় এবং
সময় ও স্থানের সীমাবদ্ধ নেই. ধীরে ধীরে দক্ষতা বাড়িয়ে আজকে আরো বৃদ্ধি
করা সম্ভব. মোবাইল ফোন দিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায় বা কিভাবে কাজ পাবেন সে
সম্পর্কে আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। মোবাইল ফোন দিয়ে কিভাবে করা যায় তার সহজ
১০ টি উপায় নিচে নিচে দেওয়া হলোঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং আয় করার উপায়
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আপনার একটা লক্ষ্য ঠিক করতে হবে এবং সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করে যেতে হবে। লক্ষ নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন করা যায় এমন কাজ নির্বাচন করতে হবে। মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়। যেমন ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করা, পণ্য বা সেবা বিক্রি করা, ব্র্যান্ড পরিচিত বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।
পণ্য বা সেবা বিক্রি করা যেকোন ডিজিটাল মার্কেটরের সবচেয়ে ভালো চ্যালেঞ্জিং কাজ। একজন গ্রাহক কখনোই ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় যখন সে দেখে এই পণ্য বা সে বা ক্রয় করলে তার চাহিদা পূরণ হবে এবং যে টাকাটা সে খরচ করবে সেটা বৃথা যাবে না। এছাড়া ব্র্যান্ড করেছি তো বৃদ্ধি তুলনামূলক অনেক সহজ কাজ। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সম্ভাব্যগ্রাহকদের সামনে ব্র্যান্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এমন ভাবে তুলে ধরে যার ফলে সেই ব্রান্ড সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে।
তাছাড়া যদি আপনি একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন তাহলে
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে পারবেন। যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক,
ফ্রিল্যান্সার, লিংকডিন ইত্যাদি। এসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করে আপনি মাসে
লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যেসব মার্কেটপ্লেস হচ্ছে এমন একটি স্থান
যেখানে প্রফেশনালরা একে অপরের সাথে সামাজিকভাবে যুক্ত থাকে। এই সব
প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়ানোর কাজ করতে পারেন।
মোবাইল ফোন দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং করে আয়
কনটেন্ট রাইটিং হল ফ্রিল্যান্সিং জগতের এমন একটি সেক্টর যেখানে শুধুমাত্র দক্ষতা
এবং সময় দিয়ে সহজেই ভালো টাকা আয় করা যায়। এই সেক্টরে কাজ করতে হলে কোন
টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না। শুধুমাত্র দক্ষতা এবং ধৈর্যের সাথে কাজ করলে সফলতা খুব
সহজেই আসবে। অনেক মানুষ শুধুমাত্র ফন্টের রাইটিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ
টাকা করছে। আপনি চাইলে মোবাইল ফোন দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করতে
পারেন।
আপাতত দৃষ্টিতে কনটেন্ট রাইটিং করার সোজা মনে হলেও সমস্যা তখনই হয় যখন কেউ
সম্পূর্ণ জ্ঞান না নিয়ে কাজটি করতে যায়। সঠিকভাবে না জেনে সঠিক উপায়
অবলম্বন না করলে এক্ষেত্রে আপনি খুব সহজে অধিকাংশ মানুষের মতো হার মেনে নিতে
বাধ্য হবে। কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য এসইও সম্পর্কে আপনার বেশি ধারনা থাকতে হবে।
কারণ কনটেন্ট পাবলিশ করার আগে এসইও না করলে আপনার কন্টাক্ট
গুগলে র্যাঙ্ক করবে না।
সাধারণত কনটেন্ট রাইটাররা ব্যক্তিগত ক্লায়েন্ট, এজেন্সি বা কোম্পানি,
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ইত্যাদির মাধ্যমে কাজ করে এবং টাকা আয় করে। এর মধ্যে আবার
অনেকে নিজেই নিজের জন্য লিখে পরোক্ষভাবে ব্যবসা বাণিজ্যিকাল মার্কেটিং
এর মাধ্যমে আয় করে। অনেক কন্টেন্ট রাইটার ক্লায়েন্টের সাথে প্রতিটি কন্টেনের
নির্দিষ্ট শব্দগুলোর উপর একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে কাজ করে। আপনি চাইলে
নিজের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট আপলোড করে আয় করতে পারেন।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়
ইউটিউব এমন একটি প্ল্যাটফর্ম এখানে আপনি কনটেন্ট আপলোড করে সহজে আয় করতে
পারেন। আপনার কনটেন্ট এর মান যদি ভালো হয় তাহলে সফলতা খুব সহজেই চলে আসবে।
ইউটিউব থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। যেমন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে,
এফফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে, ডোনেশনের মাধ্যমে, পণ্য বিক্রয় করে, স্পন্সারশিপ এর
মাধ্যমে ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে।
ভিডিও কন্টেনের মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে ভালো মানের করতে পারবেন।
অনেকেই রয়েছে যারা তাদের চাকরি ছেড়ে ফুল টাইম কাজ হিসেবে ইউটিউবকে বেছে
নিয়েছে। আর যদি ইউটিউবে আপনি ভাবতে শুরু করেন তাহলে সরকারি বেসরকারি অনেক
চাকরিজীবীদের সাথেও অনেকাংশে আপনি বেশ ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি এই
সেক্টরে একবার সফলতা পান তাহলে আপনাকে আর পিছন ফিরতে হবে না। একজন ইউটিউবার
মাসে অনেক টাকা আয় করে থাকে শুধুমাত্র তার কনটেন্ট এর জন্য।
সাধারণত বেশিরভাগ ইউটিউবার প্রথম থেকে খুব একটা বেশি আয় করতে পারে না। তবে ধীরে
ধীরে ইউটিউব থেকে ভালো পরিমান আয় করতে পারে। তাছাড়া আপনি আপনার কন্টেনের
মধ্যে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। তবে বিজ্ঞাপন দেখে
আয় করাটা শুধু গুগলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এটা যে করবে সে ছাড়া অন্য কেউ
উপলব্ধি করতে পারবে না তা থেকে কত ইনকাম করা যায়।
মোবাইল ফোন দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে আয়
ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজ হল ডাটা এন্ট্রি। ডাটা
এন্ট্রি ঘরে বসে একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই আয় করতে পারবেন। প্রথম দিকে
ডাটা এন্ট্রির কাজ শুধু ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে করা যেত এখন প্রযুক্তির
উন্নতির জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করা যায়। আপনার হাতে যদি
শুধু একটি স্মার্টফোন থাকে তাহলে ঘরে বসে কাজ করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করার জন্য বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেগুলো অনলাইনে আর কাজের পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে। আপনারা ঘরে বসে মোবাইল ফোনে এ ধরনের কাজ খুব সহজে করতে পারবে। ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারে যেমন ফাইবার, আপ ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি এসব প্ল্যাটফর্মগুলোতে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে যুক্ত হতে পারবেন। এরপর আপনাকে মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে কাজ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করতে হবে। এসব প্লাটফর্ম গুলোতে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা খুবই সহজ এবং আপনি চাইলে খুব সহজেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কাজগুলো করতে পারবেন। আপনি যদি এই কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে মাসে হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম।
সোশ্যাল মিডিয়া শুধু সময় কাটানোর জায়গা নয় ইনকামের জন্য একটি দারুণ মাধ্যম।
আপনি যদি ভেবেচিন্তে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারেন
তাহলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে
বুঝতে হবে মানুষ কি চাচ্ছে বা কি দেখাতে চাচ্ছেন। সেগুলো যদি কাজে আসে বা বিনোদন
দেই তাহলে সেটা আপনার ইনকামের রাস্তা হতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রিয় পোস্ট করলে ধীরে ধীরে আপনার ফলোয়ার
বাড়বে এবং ভিজিটর বেশি হতে থাকবে। আপনার যত বেশি ভিজিটর আপনার প্ল্যাটফর্মে
আসবে তত বেশি আপনার আয় হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
দিয়ে বা ভিডিও বানিয়ে টিকটক বা ইনস্টাগ্রামে হাজার হাজার ভিউ দিতে পারবেন
এবং তা থেকে ইনকাম করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করতে হলে ধৈর্য
এবং নিয়মিত কাজ করতে হবে।
বর্তমানে ছোট ব্যবসা শুরু করতে হলে কোন দোকান ভাড়া নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এর মত সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে ভালো ভাবে চালাতে জানলেই হয়। প্রথমে নিজের ব্যবসা চালানোর জন্য আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। আপনার পেইজে কোন পণ্যের ছবি এবং দাম উল্লেখ রাখতে হবে। যাতে মানুষ সহজে তা ক্রয় করতে পারে। অবশ্যই ছবিটি আকর্ষণীয় হতে হবে।
ছবি যতই আকর্ষণীয় হবে মানুষের আগ্রহ তত বেশি বাড়বে। পোস্টের সাথে ছোট করে সুন্দর ক্যাপশন লিখতে হবে, অন্যের ব্যবহার পণ্যের দাম এবং কাস্টমারদের অভাব সবকিছুতে বিস্তারিত লিখে দিতে হবে। যারা কমেন্ট বা মেসেজ করবে তাদের সাথে ভদ্রভাবে কথা বলতে হবে রিপ্লাই দিতে হবে। এতেকাস্টমারদের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করতে হবে এবং মাঝে মাঝে লাইভে আসতে হবে।
ভিডিও এডিটিং করে আয় করার উপায়
ভিডিও এডিটিং করে আয় করার উপায় বর্তমান সময়ে অনেক চাহিদা সম্পন্ন। ভিডিও
এডিটিং এর উপরে মার্কেটপ্লেসের প্রচুর পরিমাণে কাজের চাহিদা রয়েছে। সোশ্যাল
মিডিয়া থেকে শুরু করে যে কোন বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। আগামী
দিনগুলোতে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা থাকবে সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভিডিও কনটেন্ট
ক্রিয়েটর তাদের ভিডিওগুলো এডিট করার জন্য ভিডিও এডিটর নিয়োগ দিয়ে থাকে। আগে
ভিডিও কনটেন্ট অনেক কম ছিল বর্তমানে সকল ক্ষেত্রে ভিডিও কনটেন্ট সবচেয়ে বেশি
গ্রহণযোগ্য।
দীক্ষা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে বিয়ের ভিডিও এডিটিং সকল ক্ষেত্রে একজন ভিডিও রিডার
প্রয়োজন পরে। অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য সবচেয়ে ভালো একটি দক্ষতা হল
ভিডিও এডিটিং। ভিডিও এডিটিং করে আপনি বিভিন্নভাবে কাজ করতে পারেন কিন্তু সব ভাবে
আয় করার জন্য আপনাকে একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে হবে। ভিডিও এডিটিং এর
মাধ্যমে আপনি ভিন্ন মার্কেট প্লেসে কাজ করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে আয়
বর্তমান অনলাইন দুনিয়ায় আয় করার অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হচ্ছে ফেসবুক। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত দক্ষতা অনুযায়ী ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। ফেসবুক মার্কেটিং থেকে আয় করার প্রথম ধাপ হল আপনার পেইজে প্রচুর ফলোয়ার থাকতে হবে। বুঝতেই পারছেন যত বেশি ফলোয়ার হবে আপনার পোস্টটি তত বেশি সংখ্যক গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ ও পণ্যের প্রচার করতে পারবেন।
ফেসবুক পোস্ট এর ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করা যায়। আমরা যে কোন সেলিব্রেটির পেজে ফলো দিয়ে রাখি তাদের পেজ পণ্যের প্রচারের জন্য মাঝে মাঝে পোস্ট দেওয়া হয়। যদি কোন সেলিব্রেটির ফেসবুক পেইজ থেকে অ্যাডস দেওয়া হয় তাহলে সেই অ্যাপসের জন্য তারা লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকে। অনুরূপভাবে আপনি ফেসবুক পেজ থেকে কোন কোম্পানির পোষ্টের দেওয়ার জন্য বিনিময় আপনি কোম্পানি থেকে অনেক টাকা পাবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করার উপায়
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং
ক্যারিয়ারের সেই কাজ আপনি ভাল জানেন সেই কাজগুলো আপনার ঘরে বসে বিশ্বের বিভিন্ন
দেশের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে দিতে পারেন তাদের কোম্পানির জন্য। এটি কন্টাক
বেসিস অথবা প্রজেক্ট বেসিস আবার ঘন্টা বেসিসও হতে পারে। মূলত হাজারো স্কিল আছে
আপনাদের সামনে কোন স্কিল ভালোভাবে শেখার পর আপনি সেই কাজের জন্য যেকোনো
মার্কেটপ্লেসে কাজ নিতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি কোয়েল পিক বা শিল্প প্রক্রিয়া যা শিল্প ও প্রযুক্তিকে
একত্রিত করে ধারণার আদান-প্রদান করে। সহজ ভাবে বললে যে কোন ধরনের লোগো ডিজাইন,
ওয়েবসাইট, বই এবং যেকোনো ধরনের বিজ্ঞাপন সাজানোর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন এর
প্রয়োজন। এবং ছবির সংমিশ্রণ। এটি মানুষের চিন্তা ভাবনা এবং পছন্দকে প্রভাবিত
করে। গ্রাফিক ডিজাইনাররা স্বাভাবিকভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে
ভালোবাসে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো কাজ করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে এপফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইন স্টোর বাই ই-কমার্স ওয়েবসাইটের প্রডাক্ট বা
সার্ভিস ডিগ্রী করার জন্য ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে যারা মার্কেটিং
করে লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করে এবং একটি নির্দিষ্ট কমিশন পায়। আপনি আপনার ব্লক
বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে আপনার ফলোয়ার বা
ভিজিটরদের বলতে পারেন এবং বিক্রি করে অর্থ ইনকাম করতে পারে।
একিলিয়েট মার্কেটিং এ মজার বিষয় হলো আপনি যে কোন অনলাইন ইস্টরে
মার্কেটার হিসাবে সাইন আপ করতে পারবেন। এরপর আপনি আপনার পছন্দের জিনিসগুলো
সম্পর্কে অন্য লোকদের কাছে জানিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পণ্যের গুনাগুন
বা দাম সম্পর্কে জানিয়ে দিবেন। কোম্পানি আপনাকে বিক্রির নির্দিষ্ট হারে কমিশন
দেবে।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়
প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করার অন্যতম সুবিধা হল ইস্কেলেবল অর্থাৎ আপনি
একবার তৈরি করা প্রোডাক্ট হাজারো মানুষকে বিক্রি করতে পারবেন অথচ আপনার খরচ বা
পারিশ্রমিক একই থাকবে। এই কারণে এটিকে অনেকেই প্যাসিভ ইনকামের একটি হিসেবে
বিবেচনা করে। যেমন ধরুন একজন লেখক একটি বই লিখে ফেললে সেটি তিনবার বিক্রি করতে
পারবেন এবং আয় বাড়াতে পারবেন।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মার্কেটিং। প্রডাক্ট যতই
ভালো হোক না কেন মার্কেটিং করতে না জানলে বিক্রি করতে পারবে না। তাই আপনাকে
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ব্লগ বা youtube এ ভিডিওর
মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। যারা আপনার ডিজিটাল প্রোডাক্ট কিনবে তারা যেন সহজে
ডাউনলোড বা ব্যবহার করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পেমেন্ট গেটওয়ে সহজ
রাখা, দ্রুত ডেলিভারি ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে কাস্টমারদের সাপোর্ট দেওয়া অনেক
ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে।
শেষ কথাঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ১০ টি সহজ উপায়
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ১০ টি সহজ উপায় বর্তমান প্রজন্মের অন্যায়ের
এখন অন্যান্য সুযোগ তৈরি করেছে। আগে যেখানে ফ্রিল্যান্সিং করতে ল্যাপটপ বা
ডেস্কটপ কম্পিউটার ছিল এখন শুধু একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই
শুরু করা যায়। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিভিন্ন অ্যাপ ও অনলাইন প্লাটফর্ম এমন
ভাবে তৈরি হয়েছে যা মোবাইল থেকে ব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা হল আপনি যেখানেই থাকুন না কেন নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। । একদিকে যেমন পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব অন্যদিকে সুযোগও তৈরি হয়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় তা এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url