ইউরোপ সেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেক ভাই ও বোন জানতে চান। আজকের
এই পোস্টটি তাদের জন্য। ইউরোপ সেনজেন ভিসা এমন একটি ভিসা যার
মাধ্যমে আপনি ইউরোপের সেনজেনভুক্ত ২৯ টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। এই যে
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইউরোপ সেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায় এবং ভিসার খরচ
কত বিচার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই আপনি
যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন তাহলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
ভালোভাবে পড়ুন।
ইউরোপ সেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে
আলোচনা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। ইউরোপ সেনজেন
ভিসা অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। গুগলে ইংরেজিতে ইউরোপ সেনজেন
ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম লিখে সার্চ দিলে ইউরোপ সেনজেন ভিসার আবেদনের লিঙ্ক
পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে আপনাকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
আবেদন করার সময় দুই পাশের প্রতিটি ঘর সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে। ফরম
পূরণ করার সময় কোন ভুল তথ্য দিলে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করা হবে না।
কোন তথ্য ভুল হলে পুনরায় আপনাকে আবার আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর আবেদনের
একটি কপি আপনাকে জমা দিতে হবে। আপনি ইউরোপ সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে
চাইলে এই
লিংকে ক্লিক
করুন।
ইউরোপ সেনজেন ভিসা কি?
ইউরোপ সেনজেন ভিসা হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৯ টি দেশ দ্বারা স্বাক্ষরিত
একটি ভিসা। এটি এমন একটি ভিসা যা সমস্ত সেনজেন ভুক্ত অঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি
প্রদান করে। যার মাধ্যমে আপনি ইউরোপের সেনজেনভুক্ত যে কোন দেশে ভ্রমণ করতে
পারবেন। ইউরোপ সেনজেন ভিসা ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে
মুক্ত ভ্রমণের সুবিধাবন করে থাকে। ইউরোপ সেনজেন ভিসা ১৯৯৫ সাল থেকে কার্যকর
করা হয়েছে।
সেনজেন ভিসার মাধ্যমে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ সীমান্ত মুক্ত
পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যার ফলে আপনি ইউরোপ সেনজেন ভিসা দিয়ে ইউরোপের
সেনজেনভুক্ত যে কোন দেশে প্রবেশ করলে বাকি দেশগুলোতেও আপনি অনায়াসে ভ্রমণ
করতে পারবেন। ইউরোপ সেনজেন ভিসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তঃদেশীয় ভ্রমণ ও
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলোর তালিকা
ইউরোপ সেনজেন ভিসায় ভ্রমণের জন্য ইউরোপের কোন দেশগুলো এর আওতাভুক্ত তা জানা
জরুরী। কেননা আপনি যদি কোন দেশগুলো ইউরোপের সেনজেনভক্ত দেশের আওতাভুক্ত তা
না জানেন তাহলে আপনি বিভিন্নভাবে প্রতারিত হতে পারেন। এমনকি আপনাকে সেনজেন
ভিসার নামে অন্য দেশের ভিসা দিয়েও প্রতারিত করতে পারে। তাই আপনার সেনজেনভুক্ত
দেশগুলোর নাম জানা জরুরি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে চলুন জেনে নিই
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ কোনগুলো-
ক্রমিক নম্বর
সেনজেন দেশের নাম
১
ডেনমার্ক
২
জার্মানি
৩
এস্তোনিয়া
৪
চেক রিপাবলিক
৫
গ্রিস
৬
ফ্রান্স
৭
ক্রোয়েশিয়া
৮
বেলজিয়াম
৯
ফিনল্যান্ড
১০
অস্ট্রিয়া
১১
আইসল্যান্ড
১২
নরওয়ে
১৩
নেদারল্যান্ডস
১৪
হাঙ্গেরি
১৫
মালটা
১৬
লাটভিয়া
১৭
স্লোভেনিয়া
১৮
স্পেন
১৯
স্লোভাকিয়া
২০
পর্তুগাল
২১
সুইডেন
২২
সুইজারল্যান্ড
২৩
পোল্যান্ড
২৪
ইতালি
২৫
লিথুনিয়া
২৬
লুক্সেমবার্গ
২৭
লিচেন্সটাইন
২৮
বুলগেরিয়া (আংশিক)
২৯
রোমানিয়া (আংশিক)
ইউরোপ সেনজেন ভিসা পাওয়ার শর্ত সমূহ
ইউরোপ সেনজেন ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে সেনজেনভুক্ত দেশের ভিসা পাওয়ার
নীতি ও শর্ত সমূহ মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আপনি কখনোই ইউরোপ সেনজেন ভিসা
পাবেন না। ইউরোপ সেনজেন ভিসা পাওয়ার কিছু শর্ত নিচে দেওয়া হল-
আপনার নামে কোন মামলা থাকা যাবে না
আপনার ইউরোপ ভ্রমণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যাংকে ব্যালেন্স থাকতে
হবে
টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে
বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে
ভিজিটিং কার্ড থাকতে হবে
এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে আপনি সহজেই ইউরোপ সেনজেন ভিসা পেয়ে যাবেন। আর এই
শর্তগুলোর মধ্যে কোন একটি শর্ত পূরণ করতে না পারলে আপনি ইউরোপ সেনজেন ভিসা
পাবেন না। আশা করি আপনি পুরো বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
ইউরোপ সেনজেন ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
অনেক ভাই ও বোন ইউরোপ সেনজেন ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় সেই সম্পর্কে
জানেন না। আপনি যদি এই বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। চলুন জেনে নিন ইউরোপ সেনজেন ভিসার পুরো আবেদন
প্রক্রিয়া সম্পর্কে। ইউরোপ সেনজেন ভিসা পেতে হলে প্রথমে আপনাকে এর জন্য
আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য আপনি অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন। অথবা
আপনি অফলাইনে এম্বাসিতে গিয়েও আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন।
আবেদন করার সময় খুবই সতর্কতা সাথে সকল তথ্য আপনাকে দিতে হবে। কেননা আপনার কোন
তথ্য ভুল হলে আপনার ভিসা পেতে অনেক দেরি হবে এমনকি ভিসা নাও পেতে পারেন। এই
কারণে তথ্য দেওয়ার সময় যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য প্রদান করবেন। আবেদন ফরমের দু
পাশের প্রতিটি ঘর ভালোভাবে পূরণ করতে হবে। অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার
সকল তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে আবেদন ফরম সাবমিট করতে হবে। এবং আপনি যদি অফলাইনে
আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার আবেদন ফরমের এক কপি ছবি জমা দিতে হবে।
যেখানে আপনার তারিখ এবং স্বাক্ষর অবশ্যই উল্লেখ রাখতে হবে। আপনার সকল তথ্য
সঠিকভাবে দিয়ে থাকলে আপনি খুব সহজেই ইউরোপ সেনজেন ভিসা পেয়ে যাবেন। ইউরোপ
সেনজেন ভিসা পাওয়ার জন্য কোন সময় দালালের শরণাপন্ন হবেন না। প্রত্যেক
দেশের এম্বাসির ওয়েবসাইটে তাদের ভিসা পাওয়ার জন্য সকল তথ্য দেওয়া
থাকে। সেগুলো ভালোভাবে পড়ে আপনি সঠিক নিয়মে আবেদন করলেই সেই দেশের ভিসা
পেয়ে যাবেন। তবে যারা এ বিষয়ে দক্ষ আছেন তাদের কাছে আবেদন করার সময়
সাহায্য নিতে পারেন। আশা করি আপনি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ইউরোপ সেনজেন ভিসা করতে খরচ কত হয়?
ইউরোপ সেনজেন ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয় এই প্রশ্নটা প্রায় সবাই করে
থাকেন। ইউরোপের দেশে ভ্রমণ করার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। মূলত যারা
ইউরোপ দেশে যেতে চান এবং মাত্র একটি ভিসাই ইউরোপের ২৯টি দেশে ভ্রমণ করতে চান
তারা ইউরোপ সেনজেন ভিসা পেতে কত টাকা লাগে সেই বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন করে
থাকেন। আপনি যদি সেনজেন ভিসার জন্য নিজে আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ অনেক
কম হবে।
কিন্তু আপনি যদি কোন দালাল ধরে সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে
আপনার খরচ অনেক বেশি হবে। এছাড়া আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেন
সেক্ষেত্রেও আপনার খরচ বেশি হবে। কারণ আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে
আবেদন করেন তাহলে তারা ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার সাথে একটি চুক্তি করবে।
এবং চুক্তি অনুযায়ী আপনার কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দাবি করবে।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে আপনি যে দেশে বসবাস করেন সে দেশে যদি সেনজেনভুক্ত দেশের
দূতাবাস না থাকে তাহলে আপনার পার্শ্ববর্তী যে রাষ্ট্রে সেনজনভুক্ত দেশের
দূতাবাস রয়েছে সেই দেশে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ভিসার খরচ
কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। সেনজেন ভিসার অফিসিয়াল খরচ ৮০ ইউরোর বেশি
হবে না। আপনার সুবিধার্থে ইউরোপ সেনজেন ভিসার বাংলা টাকায় কত টাকা
খরচ হবে তার একটা নমুনা নিচে দেওয়া হল-
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১১৩০৪ টাকা।
ছয় থেকে 12 বছরের জন্য ৫৬৫২ টাকা।
ছয় বছরের নিচের বাচ্চাদের কোন ভিসার প্রয়োজন হবে না
প্রতি আবেদনের ক্ষেত্রে ভ্যাটসহ অতিরিক্ত প্রায় ১৭ ইউরো অর্থাৎ ২৪৩০
পরিমাণ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে
এবং সকল আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফি, ডি এফ এস এর সার্ভিস চার্জ এবং সকল
অতিরিক্ত চার্জ সমূহ বাংলাদেশী টাকায় ভ্যাট ও ট্যাক্স সহ প্রদান করতে হবে
সেনজেন ভিসার প্রসেসিং সময় কত
বিচার প্রসেসিং সময় বলতে ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করার পর থেকে ভিসা
হাতে পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কে ভিসার প্রসেসিং বলে। সত্যি বলতে
ভিসার জন্য আবেদন করার পর কি ভিসার জন্য অপেক্ষা করতে ভালো লাগেনা। শুধু
একটাই জিনিস মাথার ভেতরে ঘুরপাক খায় যে কখন ভিসা হাতে পাব আর কখন সেই
স্বপ্নের দেশে ভ্রমন করতে পারব। আর সেই ক্ষেত্রে ইউরোপের কোন
দেশ হলে তো আগ্রহ আরো বেড়ে যায়।
ইউরোপ সেনজেন ভিসা আপনার আবেদন ফরম পূরণ করার ৭ থেকে ১০ কর্ম দিবসের
ভিতরে প্রসেসিং হয়ে যাবে। তবে আপনি যদি আবেদন করার সময় ভুল তথ্য
দিয়ে থাকেন বা কারণবশত ভুলে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রসেসিং সময় সর্বোচ্চ
45 দিন পর্যন্ত হতে পারে। তবে আপনার সমস্ত তথ্য সঠিক দেওয়া থাকবে আর
কোন সমস্যা না হলে আপনি ৭ থেকে ১০ দিনের ভিতরে সেনজেন ভিসা পেয়ে যাবেন।
সেনজেন ভিসা পেতে কি কি কাগজ লাগে
আপনি পৃথিবীর যে দেশে ভ্রমণ করেন না কেন এর জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের
প্রয়োজন পড়বে। আর ইউরোপ সেনজেন ভিসার ক্ষেত্রে সকল কাগজপত্র খুব গুরুত্ব
সহকারে দেখা হয়। ইউরোপ সেনজেন ভিসার জন্য যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন তার
তালিকা দিয়ে দেওয়া হলো-
আবেদন ফরম জমা দিতে হবে
বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে (পাসপোর্ট এর কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে
জন্ম সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে
পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি জমা দিতে হবে
ভিজিটিং কার্ড থাকতে হবে
এনওসি পত্র জমা দিতে হবে
এগুলো ছাড়াও যদি অতিরিক্ত কোন নথিপত্রের প্রয়োজন হয় বা অতিরিক্ত কোন
কাগজপত্র চাই তাহলে আপনি সরাসরি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করবেন। আরো যদি
অতিরিক্তন পত্রের প্রয়োজন হয় তাহলে তারা আপনাকে বলে দিবে। আশা করি আপনি পুরো
বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
সেনজেনভুক্ত দেশের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
বিশ্বের প্রতি বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।
প্রত্যেক দেশ ভ্রমণ বিষয়ে কিছু সুবিধা দিয়ে থাকেন আবার সেই সাথে কিছু শর্ত
দিয়ে রাখেন। ইউরোপ সেনজেনভুক্ত দেশ এর ব্যতিক্রম নয়। এই ভিসার
ক্ষেত্রে যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি এর কিছু অসুবিধা
রয়েছে। চলুন জেনে নিন সেনজেন ভিসার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে-
সেনজেন ভিসার সুবিধাঃ সেনজেন ভিসার সুবিধা হচ্ছে সেনজেনভুক্ত যে
কোন দেশের ভিসা আপনার কাছে থাকলে আপনি সেই ভিসার মাধ্যমে ইউরোপের সেনজেনভক্ত
২৯ টি দেশেই ভ্রমন করতে পারবেন। আপনাকে প্রত্যেকটি দেশের জন্য আলাদাভাবে
ভিসা করতে হবে না। সেনজেনভুক্ত একটি দেশের ভিসা থাকলেই হবে। এছাড়াও
আপনি যদি সেনজেনভুক্ত কোন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজ করেন তাহলে
আপনি সে ভিসার মাধ্যমে সেনজেনভুক্ত অন্যান্য দেশে কাজ করতে পারবেন।
সেনজেন ভিসার অসুবিধাঃসেনজেন ভিসার অসুবিধা হচ্ছে এর ভিসা প্রসেসিং হতে অনেক সময় লাগে। এবং যেহেতু
অনেকগুলো দেশ ভ্রমণ করা যায় মাত্র একটি ভিসায় তাই ভিসা প্রসেসিংয়ের সময়
প্রত্যেকটি দেশের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এবং অনেক সময় সেনজেন ভিসা পাওয়া যায়
না। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ সেনজেনভুক্ত দেশে গেলে
বাংলাদেশ স্টিকার ভিসা প্রদান করে থাকেন।
ইউরোপ সেনজেন ভিসা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ ইউরোপ সেনজেন ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকে?
উত্তরঃ ইউরোপ সেনজেন ভিসার মেয়াদ ছয় মাস থাকে তবে সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে
আপনি ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি পাবেন।
প্রশ্নঃ সেনজেন ভুক্ত কোন দেশে সহজেই টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায়?
উত্তরঃ সেনজেনভুক্ত দেশ ফ্রান্সে সহজে টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায়।
এছাড়াও মালটা, পর্তুগাল, হাঙ্গেরি,
সুইজারল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুনিয়া নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি দেশেও সহজে
টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে সেনজেন ভিসার জন্য কোথায় আবেদন করব?
উত্তরঃ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ডেনমার্কের দূতাবাস রয়েছে। তাই আপনি
সেখানে গিয়ে ভিসার আবেদন করতে পারেন।
প্রশ্নঃ ইউরোপের কোন দেশগুলোতে কম খরচে যাওয়া যায়?
উত্তরঃ ইউরোপের যে দেশগুলোতে কম খরচে যাওয়া যায় সেগুলো হল-
রোমানিয়া
লাটভিয়া
হাঙ্গেরি
চেক প্রজাতন্ত্র
স্লোভাকিয়া
রোমানিয়া
লেখকের মন্তব্যঃ ইউরোপ সেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায়
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইউরোপ সেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে এবং কোন
দেশগুলো ইউরোপ সেনজেন ভুক্ত এলাকার আওতাধীন তার তালিকা দিয়েছি। যাতে করে
সেনজেন দেশের নাম করে আপনাকে অন্য দেশে যেন না নিয়ে যেতে পারে। আর একটি
বিষয় হচ্ছে ইউরোপ সেনজেন ভিসা ও ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এই দুটি ভিসা এক
নয়। সেনজেন ভিসা মূলত ভ্রমণের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। এবং ওয়ার্ক পারমিট
ভিসায় মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে কাজের জন্য গিয়ে থাকেন।
আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে
ধন্যবাদ। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এই রকম
তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের
brieferit.com ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে
রাখুন। আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করে দিন।
যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারেন। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url