অনেক ভাই ও বোন ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় এবং ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা পেতে কত টাকা খরচ হয় সে সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে
থাকেন। তাদের জানানোর উদ্দেশ্যেই আজকের এই পোস্টটি।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইন্দোনেশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন তাহলে পুরো পোস্টটি
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অনেক ভাই ও বোন বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাদের জানার সুবিধার্থে আজকের
এই পোস্টটি। আপনিও যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের অংশটুকু
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিছু শর্ত
রয়েছে। যে শর্তগুলো মেনে আপনি আবেদন করলে আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে
ইন্দোনেশিয়া যেতে পারবেন।
ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে ভিসারধরনের নির্বাচন করতে
হবে। ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মূলত দুই ধরনের। সেখানে থাকার মেয়াদ
অনুযায়ী ভাগ করা হয়েছে। স্বল্প মেয়াদে থাকার জন্য এক ধরনের ভিসা পাওয়া যায়।
এবং দীর্ঘমেয়াদ করার জন্য আরেক রকম ভিসা পাওয়া যায়। আপনি ওয়ার্ক পারমিট
ভিসার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া যেতে
চাইলে আপনি স্বল্প মেয়াদে যেতে চান নাকি দীর্ঘমেয়াদের যেতে চান সেটি নির্ধারণ
করতে হবে। তারপর আপনাকে ইন্দোনেশিয়ার কোন কোম্পানির কাছ থেকে অফার লেটার সংগ্রহ
করতে হবে। এর জন্য আপনি জনপ্রিয় জব পোর্টাল ওয়েবসাইট গুলোতে চাকরির আবেদন
করতে পারেন। আবেদন করার পরে নিয়োগ কর্তা আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী যদি
চাকরি দেই এবং স্পন্সার চুক্তি করতে রাজি হয় তাহলে তারা
সেই দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য
আবেদন করবে। তারপর সেখান থেকে অনুমতি পেয়ে গেলে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে
আপনাকে জানানো হবে।তারপর আপনাকে ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন
করতে হবে। নিচে আমরা ইন্দোনেশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার নিয়ম
সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে পুরো আর্টিকেলটি
পড়ুন।
ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম
অনেকেই ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় সে
সম্পর্কে জানেন না। যার ফলে ভিসার আবেদন করার জন্য কোন এজেন্সির
শরণাপন্ন হতে হয়। আপনি এর জন্য আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। তবে আপনি
চাইলে নিজে নিজে ইন্দোনেশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে
পারেন। এর জন্য আপনাকে কিভাবে আবেদন করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে হবে।
ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে তাদের
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর সেখানে যে ফর্মটি রয়েছে সেটি
ভালোভাবে পূরণ করতে হবে। ফর্মের দুই পাশের প্রতিটি ঘর পূরণ করতে হবে এবং সকল
প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে হবে। সবকিছু দেওয়া হয়ে গেলে পুনরায় চেক করতে
হবে যাতে করে যেন কোন ভুল না হয়।
কারণ কোন তথ্য ভুল হলে আপনার ভিসা প্রসেসিং হতে অনেক বেশি সময় লেগে
যাবে। তত ভুল দেওয়ার কারণে অনেক সময় ভিসা বাতিল পর্যন্ত হয়ে
যায়। তাই আবেদন করার সময় সবকিছু দেখে শুনে সঠিক তথ্য ও প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তারপর আপনাকে সাবমিট করতে হবে। সাবমিট করা হয়ে
গেলে আপনাকে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তবে আপনি যদি নিজে নিজে আবেদন করতে না পারেন তাহলে কোন বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে
আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ বেশি হবে। আশা করি আপনি ইন্দোনেশিয়া
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। নিচে
আমরা ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে যে সকল কাগজপত্র
প্রয়োজন হয় সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।
ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
ইন্দোনেশিয়া যেতে হলে প্রথমে আপনাকে এর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন
করার সময় কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। যেগুলো দিয়ে আবেদন
ফরম পূরণ করতে হয়। নিচে ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে যে
সকল কাগজপত্র লাগে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-
জব অফার লেটার
বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
জাতীয় পরিচয় পত্র
জন্ম নিবন্ধন
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
মেডিকেল রিপোর্ট
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
ভাষা দক্ষতার সনদপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)
ব্যাংক স্টেটমেন্ট
ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন সময় লাগে
অনেক ভাই ও বোন যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া যদি চান অথবা
যারা ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তারা জানতে চান
ইন্দোনেশিয়ার ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন সময় লাগে। সাধারণত আপনি
যদি আবেদন করার সময় সকল কাগজপত্র সঠিক দিয়ে থাকেনতাহলে ভিসা প্রসেসিং
করতে ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে আপনার আবেদন করার
সময় কোন তথ্য ভুল হলে কিংবা কোন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিতে অপারগ হলে আপনার
ভিসা প্রসেসিং হতে ৩০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এমনকি এর চাইতে
বেশি সময় ও রাখতে পারে। তবে আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলেন এবং আপনি সঠিক
নিয়ম ভিসার জন্য আবেদন করলে আপনার ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং হয়ে
যাবে। তবে ভিসার ইন্টারভিউ এর জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে অনেক
বেশি সময় লেগে থাকে। নিচে আমরা ইন্দোনেশিয়া কাজের বেতন কত সে সম্পর্ক আলোচনা
করব। আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন তাহলে আর্টিকেলটি পড়ুন।
ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত
অনেকেই ইন্দোনেশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত সে সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে
সার্চ করে থাকেন। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার
মাধ্যমে যেতে চান তাহলে ভিসার খরচ কত টাকা সে সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ আপনি
যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে না জানেন
তাহলে আপনি প্রতারণার শিকার হতেও পারেন। তাই আপনার এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা
থাকতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক প্রবাসী ইন্দোনেশিয়া গিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ
থেকে ওয়ার্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া যেতে প্রায় 1400
মার্কিন ডলার থেকে 3600 মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে ভিসার মেয়াদের
উপর খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। আশা করি আপনি ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার
খরচ কত টাকা হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। নিচে আমরা ইন্দোনেশিয়া কাজের
বেতন সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান আর্টিকেলটি পড়তে
থাকুন।
ইন্দোনেশিয়া কাজের বেতন কত টাকা
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে কিন্তু ইন্দোনেশিয়া যেতে চান তাহলে
আপনাকে ইন্দোনেশিয়া কাজের বেতন কত টাকা সে সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। কারণ আপনি
যদি কাজের বেতন সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আপনি প্রতারণার স্বীকার হতে
পারেন। ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের মতোই একটি উন্নত আয়ের দেশ।
এদেশটিতে এই দেশটিতে কাজের বেতন সাধারণত শ্রমিকদের দক্ষতা ওকাজের
অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। আপনার যদি কাজের উপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে
তাহলে আপনি বেতন বেশি পাবেন। এবং আপনি যদি একজন অদক্ষ শ্রমিক হন তাহলে আপনার
পারিশ্রমিক তুলনামূলক কম হবে। ইন্দোনেশিয়ার ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী
সাধারণ শ্রমিকদের বেতন IDR ৩,০০০,০০০ থেকে IDR ৮,০০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে
থাকে।
তবে ইন্দোনেশিয়ার স্থান ভেদে এই বেতন পরিবর্তন হতে পারে। যেমন
ইন্দোনেশিয়ার বড় শহরগুলোতে এর চাইতে বেশি পরিমাণ বেতন দেওয়া হয়ে
থাকে। এই দেশটিতে বিভিন্ন স্থানে বেতন ভিন্ন হয়ে থাকে।বর্তমানে
ইন্দোনেশিয়াতে উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন খাত গুলোতে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুযোগ
রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় কোন কাজের বেতন বেশি
যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইন্দোনেশিয়া যেতে চান তারা অনেকেই ইন্দোনেশিয়ায়
কোন কাজের বেতন বেশি সে সম্পর্কে জানতে চান। আপনারা যদি এ বিষয়ে জানতে চান
তাহলে পুরো পোস্টটি পড়ুন।ইন্দোনেশিয়ায় য় যে কাজগুলোর বেতন বেশি সে
কাজগুলোর উপর
আপনি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে গেলে আপনি অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর নিচে ইন্দোনেশিয়ায় যে কাজগুলোর বেতন বেশি
তার একটা তালিকা দেওয়া হলো-
ড্রাইভিং
সিকিউরিটি গার্ড
কনস্ট্রাকশন
ইঞ্জিনিয়ারিং
সেলস ম্যানেজার
আইটি খাত
ফুড ডেলিভারি ম্যান
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী
প্লাম্বার ইত্যাদি।
ইন্দোনেশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
অনেক ভাই ও বোন ইন্দোনেশিয়ায় কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে সেগুলো
জানার জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন। তাদের জানানোর উদ্দেশ্যে আজকের এই
পোস্টটি। আপনিও যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া যেতে চান
তাহলে আপনাকে ইন্দোনেশিয়ায় যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে
জানতে হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি হয়েছে সেগুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করে
গেলে আপনি প্রথম মাস থেকেই অধিক পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। ইন্দোনেশিয়ায় যে কাজগুলো চাহিদা বেশি রয়েছে সেই কাজগুলোর তালিকা
নিচে দেওয়া হল-
ড্রাইভিং
ইলেকট্রিশিয়ান
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী
কনস্ট্রাকশন শ্রমিক
প্লাম্বার
টেকনিশিয়ান
ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ ইন্দোনেশিয়া কি মুসলিম প্রধান দেশ?
উত্তরঃ হ্যাঁ, ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম
দেশ।
প্রশ্নঃ ইন্দোনেশিয়ার ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ ইন্দোনেশিয়ার ভিসা প্রসেসিং হতে ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগে
থাকে।
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে ইন্দোনেশিয়ার দূরত্ব কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ইন্দোনেশিয়ার দূরত্ব হচ্ছে প্রায় ৭
হাজার ১৫ কিলোমিটার।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার
উপায়, ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম, ভিসার
জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে এবং ইন্দোনেশিয়াতে যে সকল কাজগুলোর চাহিদা বেশি
রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি
পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে
ধন্যবাদ।এরকম আরো প্রবাস ভ্রমণ গাইড সম্পর্কিত আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের
সাথেই থাকুন। আরো কিছু জানতে চাইলে আপনি কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে
পারেন। আমরা আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আজ এই পর্যন্তই ভালো
থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url