পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে -পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি

অনেক ভাই ও বোন বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জানতে চান। আজকের এই পোস্টটি তাদের জন্য। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, 

পর্তুগাল-যেতে-কত-টাকা-লাগে

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে এবং পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

  •  বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
  • পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার নিয়ম-২০২৬
  • কোন ভিসার মাধ্যমে পর্তুগালে সহজে যাওয়া যায়
  • পর্তুগাল যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
  • পর্তুগাল যেতে বয়স কত লাগে
  • পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৬
  • পর্তুগালে কোন কাজগুলোর বেতন বেশি
  • পর্তুগালের এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা
  • পর্তুগাল দেশের ভিসা সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
  • লেখক এর মন্তব্যঃ পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে তা জানার জন্য অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন। তাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই পোস্টটি। পর্তুগাল হচ্ছে ইউরোপের একটি মধ্যম আয়ের দেশ।এই দেশটি ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে অবস্থিত। এই দেশটি মধ্যম আয়ের দেশ চলেও কাজের বেতন তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও এই দেশটিতে সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়।
মূলত এ কারণেই প্রতিবছর বাংলাদেশ অনেক শ্রমিক পর্তুগালে গিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে ইউরোপের দেশ হিসাবে খরচ কম লাগে। পর্তুগাল যেতে ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। তবে সাধারণত পর্তুগাল যেতে প্রায় ৬ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেগে থাকে।তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে তুলনামূলক কম খরচ হবে। বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন এম্বাসি নেই।

তাই আমাদের পাশের দেশ ভারতে গিয়ে পর্তুগালের এম্বাসিতে ভিসা প্রসেসিং করতে হয়। তাই পর্তুগাল যেতে খরচ একটু বেশি হবে। তবে বাংলাদেশে পর্তুগালের এম্বাসি থাকলে খরচ আরো কম হত। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আপনি যদি নিজে নিজে পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ কম হবে। আর যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেন সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ বেশি হবে। আশা করি আপনি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার নিয়ম-২০২৬

অনেক ভাই ও বোন যারা পর্তুগালে যেতে চান তারা অনেকেই পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাদের জানা সুবিধার্থে আজকের এই পোস্টটি। পর্তুগাল যেতে হলে আপনাকে প্রথমেই এর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর এই ভিসার আবেদন করার জন্য এ সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা থাকতে হবে। পর্তুগালে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েক ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। যেমন
  • টুরিস্ট ভিসা
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • সেনজেন ভিসা ইত্যাদি
পর্তুগালে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা খুব সহজেই পাওয়া যায়। পর্তুগাল দেশের কোন কোম্পানির অফার লেটার থাকলে সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন। এবং আপনি যদি পর্তুগালের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তাহলে আপনি খুব সহজেই পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য ইউরোপ সেনজেন ভিসা পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে আপনি ইউরোপের সেনজেনভক্ত ২৯ টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। 

পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে ভিসার ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। তারপর যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনাকে অনলাইন অথবা অফলাইনে জমা দিতে হবে। এবং আপনাকে অনলাইনে একটি আবেদন করতে হবে। আপনি চাইলে পর্তুগাল ভিসা নিজে নিজে আবেদন করতে পারবেন। অথবা আপনি বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি নিজে নিজে আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ অনেক কম হবে এবং 

আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার পর এপয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়ে গেলে আপনাকে পর্তুগালের দূতাবাস এ গিয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে। ইন্টারভিউ এ আপনি সঠিক উত্তর দিতে পারলে এবং আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে আপনি পর্তুগালে যাবার অনুমতি পাবেন। পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

কোন ভিসার মাধ্যমে পর্তুগালে সহজে যাওয়া যায়

পর্তুগালে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। ভিন্ন ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে খরচ কম বেশি হতে পারে। ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী পর্তুগাল যাওয়ার খরচ নির্ধারণ করা হয়। তবে পর্তুগালে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হল স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যাওয়া। কারণ এ ভিসাটি খুব সহজেই পাওয়া যায়। আপনার যদি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি শুধু পর্তুগাল না বিশ্বের যে কোন দেশে খুব সহজেই যেতে পারবেন।

কারণ এ ভিসাটির আবেদন প্রসেসিং প্রক্রিয়া খুব সহজেই হয়ে থাকে। পর্তুগালের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে পর্তুগালের কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হবে। এবং আপনার ইংরেজি ভাষা উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে পর্তুগালের পড়াশোনার মত বা থাকা খাওয়ার মত ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে। তাহলে আপনি সহজেই পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।
পর্তুগাল-যেতে-কত-টাকা-লাগে-পর্তুগাল-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি
এছাড়াও ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগালে খুব সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনি পর্তুগাল যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই পর্তুগাল দেশের কোন কোম্পানির কাছ থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনি সহজেই পর্তুগালে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন।

আরেকটি ভিসার মাধ্যমে সহজেই পর্তুগালে যাওয়া যায়, সেই ভিসাটি হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা। তবে  এ ভিসাটি ব্যবসায়ীরা বেশি ব্যবহার করে থাকেন। কারণ এ ভিসায় যেতে হলে আপনার শক্তিশালী ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও পূর্বের ট্রাভেল রেকর্ড থাকতে হবে। এই সকল যোগ্যতা থাকলে আপনি সহজেই পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কোন ভিসার মাধ্যমে পর্তুগালের সহজে যাওয়া যায়।

পর্তুগাল যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

অনেক ভাই ও বোন যারা পর্তুগাল যেতে চান তারা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে পর্তুগালে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে। পর্তুগালে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর এই ভিসার আবেদন করার জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। নিচে পর্তুগাল ভিসার জন্য যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তার একটা তালিকা দেওয়া হলো-
  • ভিসার আবেদন ফরম
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • জন্ম সনদ
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • টিন সার্টিফিকেট (যদি প্রয়োজন হয়)
  • ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা
  • ট্রাভেল রেকর্ড (টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজন)
  • জব অফার লেটার (ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
  • বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির অফার লেটার (স্টুডেন্ট ভিসার জন্য)

পর্তুগাল যেতে বয়স কত লাগে

অনেক ভাই ও বোন যারা পর্তুগালে যেতে চান তারা অনেকেই গুগলে সার্চ করেন যে পর্তুগালে যেতে কত বয়স লাগে। তাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই পোস্টটি। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা এখন জানবো পর্তুগাল যেতে কত বছর বয়স লাগে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার জন্য সাধারণত বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। 
তবে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট  ভিসার জন্য ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে। এবং টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের জন্য আপনার কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। ১৮ বছরের কম হলে অভিভাবকের ডকুমেন্টস লাগবে বা অভিভাবকের অনুমতি লাগবে। আশা করি আপনি পর্তুগাল যেতে কত বছর বয়স লাগে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৬

পর্তুগাল হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি দেশ। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশটিতে সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। তাই এ দেশটিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের যাওয়ার চাহিদা অনেক বেশি থাকে। এই দেশটিতে প্রবাসী কর্মীদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আপনি যদি পর্তুগালে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সে দেশে কোন কাজগুলোর

চাহিদা বেশি রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যে কাজগুলোর চাহিদা নেই সে কাজগুলোর জন্য আবেদন করলে আপনি কাজ পাবেন না। তাই আপনাকে পর্তুগালে যে কাজগুলোর চাহিদা রয়েছে সে কাজগুলোর জন্য আবেদন করতে হবে। তাহলে আপনি সহজেই অফার লেটার পেয়ে যাবেন। পর্তুগালে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল-
  • কৃষি শ্রমিক
  • নির্মাণ শ্রমিক
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • প্লাম্বার
  • ড্রাইভিং
  • ফুড ডেলিভারি
  • মেকানিক্যাল
  • হোটেল বা রেস্টুরেন্ট শ্রমিক
  • ক্লিনার ইত্যাদি। 

পর্তুগালে কোন কাজগুলোর বেতন বেশি

অনেক ভাই ও বোন বিশেষ করে যারা পর্তুগাল যেতে চান বা যারা গিয়েছেন তারা অনেকেই জানতে চান বর্তমানে পর্তুগালে কোন কাজগুলোর বেতন বেশি। কারণ সকল প্রবাসী ভাই ও বোন তারা অল্প সময়ে অধিক পরিমাণে টাকা ইনকাম করার জন্যই ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমান। তাই তারা যেসব কাজের বেতন বেশি সেসব কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে যেতে চান। পর্তুগালে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
পর্তুগাল-ভিসা-প্রসেসিং-হতে-কত-সময়-লাগে
তবে একজন অদক্ষ কর্মীর চেয়ে একজন দক্ষ কর্মীর বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি পর্তুগালে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পর্তুগালে যে কাজগুলো চাহিদা বেশি এবং যে কাজগুলোর বেতন তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে সেই কাজগুলোর উপর আপনাকে দক্ষতা অর্জন করে যেতে হবে। তাহলে আপনি শুরু থেকেই অধিক পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নিচে পর্তুগালে যে কাজগুলোর বেতন বেশি হয়ে থাকে তার একটা তালিকা দেওয়া হলো-
  • কনস্ট্রাকশন
  • ড্রাইভিং
  • প্লাম্বার
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ফুড ডেলিভারি ম্যান ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত এসব কাজের চাহিদা যেমন পর্তুগালে অনেক বেশি ঠিক তেমনি এসব কাজের জন্য অনেক বেশি পরিমাণে তারা পারিশ্রমিক দিয়ে থাকেন। তাই আপনি এসব কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে তারপরে গেলে আপনি শুরু থেকেই অধিক পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি আপনি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

পর্তুগালের এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা

অনেক ভাই ও বোন যারা পর্তুগাল যেতে চান বা যারা পর্তুগালে থাকেন তাদের জন্য পর্তুগালের এক ইউরো সমান বাংলাদেশের কত টাকা হয় সে সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা থাকতে হবে। কারণ এই সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে আপনি বিভিন্ন সময় প্রতারণার শিকার হতে পারেন। বর্তমানে যারা পর্তুগালে থাকেন তাদেরকে ডলার কারেন্সির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হয়। এক্ষেত্রে তাদের পর্তুগাল ইউরোর মূল্য কত টাকা,
বর্তমান ডলার রেট কত এবং ডলার রেট অনুযায়ী এক ইউরো সমান কত টাকা হয় সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। বর্তমান ডলারের রেট অনুযায়ী পর্তুগালের এক ইউরো সমান বাংলাদেশের ১৪২.৩৮ টাকার সমান। অর্থাৎ আপনি পর্তুগালের এক ইউরো দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ১৪২ টাকা মত পাবেন।আশা করি আপনি পর্তুগালের এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

পর্তুগাল দেশের ভিসা সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

  • প্রশ্নঃ পর্তুগাল ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন সময় লাগে?
  • উত্তরঃ পর্তুগাল ভিসা প্রসেসিং হতে সর্বোচ্চ 15 দিন পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। তবে কাগজপত্রের জটিলতা থাকলে সে ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
  • প্রশ্নঃ বর্তমানে পর্তুগাল যেতে কত টাকা খরচ হয়?
  • উত্তরঃ বর্তমানে পর্তুগাল যেতে ভিসা খরচ থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক যাবতীয় খরচ ধরে ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী 6 থেকে 12 লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
  • প্রশ্নঃ পর্তুগাল কি সেনজেনভুক্ত দেশের অন্তর্ভুক্ত?
  • উত্তরঃ হ্যাঁ, পর্তুগাল ইউরোপের ২৯ টি সেঞ্জনভুক্ত দেশের মধ্যে একটি। ইউরোপ সেনজেন ভিসার মাধ্যমে আপনি পর্তুগাল সহ সেনজন ভুক্ত বাকি দেশগুলোতে বিনা বাধায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
  • প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল কত কিলোমিটার? 
  • উত্তরঃ বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালের দূরত্ব হলো ৯ হাজার ৪৭ কিলোমিটার।
  • প্রশ্নঃ পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসায় কত টাকা লাগে?
  • উত্তরঃ পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা মতো লাগে। এছাড়াও এ ভিসায় যেতে হলে আপনার শক্তিশালী ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে। 

লেখক এর মন্তব্যঃ পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে, পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, পর্তুগাল ভিসা পাওয়ার উপায় বা ভিসার আবেদন করার নিয়ম এবং পর্তুগাল কোন কাজের বেতন বেশি সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। তবে আমার মতে আপনি যদি ইউরোপের দেশ পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে

অবশ্যই আপনি পর্তুগালে যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে সে কাজগুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করে তারপরে যাবে। তাহলে আপনি যাবার পর থেকেই ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।এরকম আরো প্রবাস ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের Briefer IT ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url